বৈধ ও অবৈধ যৌনতার ভালো-মন্দ
অবৈধ
যৌন সঙ্গম আপনার দেহ-মনকে দ্রুত ধ্বংস করে ফেলবে। তাই সাবধান! বিপরীতে
স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যাকর যে কোন যৌনকর্ম সেটার ধরণ ও পদ্ধতি যদি শরিয়া ও মেডিকেল
সাইন্স বিরোধী না হয় তাহলে তার মধ্যে রয়েছে দুনিয়ার স্বর্গসুখ। তাই
বৈধ যৌনতায় লিপ্ত হোন প্রতিদিন। প্রত্যেক অবিবাহিত শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ ও
বয়সন্ধিকাল অতিক্রমকারী যুবক-যুবতী যৌনক্ষুধায় ছটফট করছেন। এটাই চরম সত্য। অথচ
তারা অবিবাহিত। তাই তাদের বলবো- আপনারা বিয়ে করতে আর একদিনও দেরি করবেন না। বিবাহ না করলে আপনার
দ্বীন পালন অপূর্ণ থেকে যাবে। আর একই সাথে অবিবাহিত জীবন দেহ-মনে অসম্পূর্ণ থেকে
যায়। যৌবনের প্রকৃত স্বাদ সময় মতো না পেলে এ জীবন ব্যর্থ। বহু যুবক-যুবতী
লেখাপড়া, ক্যারিয়ার ও সকাল থেকে সন্ধ্যা নানা ক্ষেত্রে
শুধু সফলতার প্রমাণ বয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু তারা অবিবাহিত থাকার
কারণে তাদের জীবন যে ব্যর্থ তা প্রমাণ করা আমার পক্ষে দুরূহ ব্যাপার নয়।
তাদের অধিকাংশই
আবার অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত। যেমন ধরুন: হস্তমৌথুন, পর্নোগ্রাফি, অশ্লিলতা দর্শন, ছেলে-মেয়ের
অবাধ মেলামেশা, প্রেম-পরকীয়া, পতিতালয়ে গমন, পতিতাবৃত্তি, ধর্ষণসহ আরো অনেক পথ-পদ্ধতি।
আমরা সবাই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেয়ে, শরীরের অতিরিক্ত মেদ-চর্বি কমিয়ে, শারীরিক ব্যায়াম করে, অসুস্থ হলে ঔষধ সেবন করে, ডাক্তারখানায় গিয়ে ও আরো কত কলা কৌশল ব্যবহার
করে সুস্থ থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু এদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তারা এমনিতেই ভীষণ রকম অসুস্থ। তাদের অসুস্থতার
খবর আমি জানি। এ সকল অসুস্থ অবিবাহিত ছেলে-মেয়ে আরো যদি হয় অবৈধ যৌনচারে
লিপ্ত, তাহলে তাদের সুস্থ ও রোগমুক্ত
জীবন আর দীর্ঘায়ু লাভ একেবারেই অসম্ভব।
যৌনক্ষুধা
সাময়িক সময়ের জন্য, একবার মিটে গেলে
হয়তো কয়েক ঘন্টা বা সারাদিনে বা দু-তিন দিনে আর চাহিদা থাকবে না, কিন্তু এই সাময়িক চাহিদা সহ্য করতে না পেরে আমরা
এমন ভুল করে ফেলি যার ক্ষত সারাজীবনেও মোছা যায় না। বহু মানুষ দুই মিনিটের
সুখের জন্য নিজেকে কলঙ্কিত করেছে, মান ইজ্জত ভুলুন্ঠিত
করেছে। তারা আল্লাহর সামনে দাঁড়াতেও লজ্জা পায়। হয়তো এদের অনেকেই দুই কান কাটা
হয়ে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে সমাজ সংসারে বেঁচে থাকে, তবুও তাদের এই বেঁচে থাকা নিরর্থক।
বিবাহ বহির্ভূত যেকোনো যৌনকর্ম অতি অল্প সময়ের জন্য সংগঠিত হয়ে থাকে। পুরুষের বীর্যপাত হলে তাকে যেমন নিজে দৌঁড়াতে হয় তেমনি তার সাথে অবৈধ কর্মে লিপ্ত নারীটিকেও চাহিদা মিটুক বা না মিটুক পালাতে হয়। ভয়, স্বাস্থ্যহানি, মানহানি ও সর্বোপরি পাপ- এসব বিষয় থাকে। আর এর বিপরীতে স্বামী-স্ত্রী যদি ঝড় তোলানো যৌনকার্য সারা রাত-দিন ভরেও করে তাতেও কোনো ক্ষতি তো নেই, বরং অনাবিল তৃপ্তি, সওয়াব ও আরো রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা। আর কতোভাবে আমি বুঝাই বৈধ ও অবৈধ যৌনতার ভালো-মন্দ?
এই লেখাটির উৎস বই: ব্যক্তিক যৌননীতি
লেখক: মুহাম্মাদ আল-আমিন খান
প্রকাশক: সনেট লাইব্রেরি
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Sex Tips এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Sex Tips এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Sex Tips