বিয়ে ও যৌনতা
বিয়ের
পর নারী ও পুরুষ প্রথম যে কাজটি করে সেটি হলো তাদের যৌথ যৌনক্রিয়া। বিয়ের প্রধান ও প্রথম উদ্দেশ্য হলো এই যৌনক্রিয়া। অনেকেই হয়তো বলবেন- প্রধান উদ্যেশ্য সন্তান জন্মদান ও বংশবৃদ্ধি ঘটানো। না, এটা প্রধান উদ্দেশ্য নয়। আর একাকিত্ব ঘোচানোর জন্যই মানুষ বিয়ে করে, এটাই মূল কারণ হিসেবে অনেকেই দেখাবেন। এও বলবেন- বিয়ে না করেও মানুষ চাইলে সামাজিকভাবে একাকিত্ব
ঘুচাতে পারে। এ বিষয়গুলোকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো আসলে ডাহা
মিথ্যা কথা। তবে এ কারণগুলো থাকলেও প্রধান কারণ হলো যৌনকর্ম
করা। যৌন চাহিদার অপূর্ণতার ফলে দিশেহারা হলেই কেবল মানুষ বিয়ে করে। লুকোচুরি করে
যেহেতু এক, দুইবার বা অল্প যৌনমিলন করা যায়, তাই নারী ও পুরুষ
অধিকহারে যৌনমিলন করার জন্যেই মূলত বিয়ে করে থাকে। অর্থাৎ বিয়ের
প্রধান উদ্দেশ্য সীমাহীন যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের বাধ ভাঙ্গা দেহক্ষুধা
নিবারণ করা।
বিবাহের
মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যাকার দেহ সঙ্গমের মাধ্যমেই দুটি বিপরীত
ধর্মী মানুষের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা ও মায়া মহব্বত সৃষ্টি হয়। সেই মায়ার মধ্যে
থাকে যৌন আকর্ষণ। আর এই আকর্ষণই স্বামী-স্ত্রীকে দীর্ঘদিন
একই সাথে থাকার বন্দোবস্ত করে দেয়। সংসার জীবনে শত ঝগড়া বিবাদের পরেও যখন দুটি
দেহ চরম উত্তেজনায় যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয় তখন আর কোন অশান্তি থাকে না, তৈরি হয় ক্ষমার পরিবেশ, মুখ দিয়ে বের হয় ‘ভালোবাসি
তোমাকে’। এভাবেই টিকে থাকে দুটি নারী-পুরুষের আমৃত্যু সংসার জীবন।
বৈধ
যৌনতায় দেহ-মনে যে সুখ বয়ে আনে তা আপনাকে দীর্ঘায়ু পেতে সাহায্য করবে। অর্থাৎ যারা
নিজের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করতে চান তারা অবশ্যই বিবাহ করবেন। বিবাহিত জীবনে প্রতিদিন
যৌনকর্মে এমন শারীরিক ব্যায়াম হচ্ছে যা মাইলের পর মাইল হেঁটেও অর্জন সম্ভব নয়, নানাভাবে শারীরিক কসরত করেও সম্ভব নয়। নিজের দেহটাকে সুস্থ সুন্দর রাখতে হলে
দেহ ও মনের যাবতীয় কামনা-বাসনাকে বৈধ পথেই বাস্তবে রূপ দিতে হবে। এই কামনা আর
বাসনা যত চেপে রাখবেন, যত লুকোচুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন, ততোই আপনার দেহ রোগাক্রান্ত হবে ও আপনার আয়ু কমতে থাকবে। তাই আজই বিয়ে করুন।
যৌনতা
হলো স্বর্গ থেকে আগত এক ফোঁটা সুখ। আমরা সবাই স্বর্গে যেতে চাই। স্বর্গের সুখ
সবাই আমরা পেতে চাই। এজন্যই দুনিয়াতে ভালো কাজ করি, অসহায় দরিদ্রের মুখে হাসি ফোটাই। নামাজ-রোজায় মনোযোগ
দেই, কোরআন-হাদিস অনুসরণ করি। আল্লাহকে ডাকি রাত দিন, আল্লাহর ভয়ে কাঁদি। স্বর্গে
যেতে আমাদের আমৃত্যু দ্বীন-ধর্মের পথে মেহনত চলে। কিন্তু এই
স্বর্গ তো মৃত্যুর পরে! তাছাড়া অবৈধ
যৌনতায় যারা কোনো একদিন লিপ্ত হয়েছিল বা প্রতিনিয়ত লিপ্ত হচ্ছে তাদের পরকালে
স্বর্গে যাবার কোনই সম্ভাবনা নেই যদি না মহান আল্লাহ তার একান্ত নিজ অনুগ্রহে
ক্ষমা করেন। আর দুনিয়াতে বেঁচে থেকে গাড়ি-বাড়ি, দামী
আসবাবপত্র, পোশাক-আশাক, অলংকার, ভালো ভালো মুখরোচক খাবার
দিয়ে আমরা সুখ খুঁজি। কিন্তু যৌনসঙ্গম নেই! তাহলে আসল সুখ কোথায়?
যৌনসঙ্গমবিহীন জীবনে সেই সুখ নেই, যে সুখ আছে জীর্ণ কুটিরে ক্ষুধার্ত
উদরে দুটি নারী-পুরুষের মধ্যে যে যৌনকর্ম
চলছে সেখানে। অর্থাৎ পৃথিবীর স্বর্গসুখ একমাত্র যৌন সঙ্গমের
মধ্যেই নিহিত রয়েছে। ধরে নিতে পারেন পরকালে আল্লাহ আমাদের জন্য যে স্বর্গ রেখেছেন
তা থেকে পৃথিবীতে সরিষাদানার থেকেও ছোট এক ফোঁটা স্বর্গসুখ এসেছে, সেটা হল যৌনসুখ। এই অতি ক্ষুদ্র স্বর্গ সুখ কতটা মধুময় তা যারা যৌনকর্ম করেছে
শুধু তারাই জানে। আর যারা অবিবাহিত তারা জানে না পৃথিবীর সর্গসুখ কি! পরকালে সর্বসুখ পাবেন কিনা আপনি নিশ্চিত নন, আর অবৈধ যৌনতায় লিপ্ত থাকলেও
আপনি কোনভাবেই পরপারে স্বর্গে যেতে পারবেন না। তাই পৃথিবীতে বৈধ পথে
যৌনকর্ম করে স্বর্গসুখ পেতে দেরি করা আপনার জন্যে ভুল নয় কি?
প্রত্যেক
নারী ও পুরুষের পারস্পারিক বৈবাহিক সঙ্গীকে যৌনসঙ্গী রূপে বিবেচনা করুন। তাহলেই
কেবল যৌনজীবন মধুর হয়। কেননা বৈবাহিক সঙ্গী ব্যতিরেকে যখন কোন মানুষ যৌন সঙ্গমে
লিপ্ত হয় তখন পুরুষের বীর্যপাত এবং নারীর চরম পুলক হলেই স্বর্গ সুখের পরিসমাপ্তি
ঘটে। আর এই অবৈধ কর্মের কারণেই শুরু হয়ে যায় তাদের নরক যন্ত্রণা। কখনো কোন
বিবাহিত যুগলকে বলতে শুনেছেন যে তারা স্বামী-স্ত্রী যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হবার পরে নরক
যন্ত্রণায় ভুগেছেন? বীর্যনাশের দুর্বলতায় পুরুষ নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে যায়।
তা কেবল স্ত্রীর পাশেই সম্ভব। আর অবৈধ যৌন সঙ্গমে বীর্যপাতের দুর্বলতায় ঘুম আসলেও
সে সুযোগ নেই। দৌঁড়িয়ে পালানোর পথ থাকে না। আর চরমপুলক ঘটিয়ে দেওয়া পতিতাটিকেও
বুকে জড়িয়ে ধরে রাখা যায় না, ছেড়ে দিয়ে তাকেও নিস্তার
দিতে হয়। সেও আর এই পুরুষটাকে চায় না কারণ তাকে পরবর্তী খদ্দের খুঁজতে হবে। পতিতা ছাড়া যদি হয় বিবাহবহির্ভূত
ভালোবাসার সম্পর্ক, বীর্যনাশের পরে সেখানেও বিয়ে করা না করার প্রশ্ন ওঠে। ওঠে বিশ্বাস
ও ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহের ডালপালা। আর সত্য যে, এর মধ্যে প্রায়শই থাকে প্রতারণা ও দেহ
লুটে পুটে খাওয়ার ধান্দা।
অবৈধ যৌন কার্যের ফলে জারজ সন্তান জন্ম নেয়। যার পরিচয় সমাজ সংসারে দেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। মায়ের মমতা থাকার পরও এই সন্তান নিয়ে মা বিপদে পড়ে যায়। সন্তানের জন্মদাতা হয়েও বাবা সন্তানের ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়। আর এই সন্তান হয়ে পড়ে সমাজের জন্য বোঝা, কেউ তার দায় নিতে চায়না। অনেক মা তো অবৈধ গর্ভপাতের ফলে সৃষ্ট সন্তানকে নর্দমার ভিতর ফেলে যায়। অনেক জারজ সন্তান কুকুর শিয়ালের খাবার হয়। কেউবা পিতৃ পরিচয়হীন হয়ে দয়ালু মানুষদের ঘরে কিছুটা অনাদরে বড় হয়। বিপরীতে বৈধ স্বামী-স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেওয়ার সন্তান কত আদর ভালোবাসা পেয়ে বেড়ে ওঠে। কি আর বলবো! অবৈধ যৌন সঙ্গমে কত বীর্য, কত ডিম্বাণু ভ্রুনে পরিণত হয়েও পরিস্ফুটনের আগেই দূষিত রক্ত স্রোতে কর্দমায় হারিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর দায় তাদের, যারা বিবাহ করেনি অথবা অবৈধ সঙ্গমের মাধ্যমে যৌন সুখের সাময়িক উন্মাদনায় মেতেছিল।
এই লেখাটির উৎস বই: ব্যক্তিক যৌননীতি
লেখক: মুহাম্মাদ আল-আমিন খান
প্রকাশক: সনেট লাইব্রেরি
সার্চ কী: বিয়ে ও যৌনতা, বৈবাহিক জীবনে যৌন সম্পর্ক, স্বামী স্ত্রীর মিলন, ইসলাম অনুযায়ী
দাম্পত্য জীবন, যৌন শিক্ষা বিয়ের পর, নতুন দম্পতির যৌন জীবন, স্বামী স্ত্রীর যৌন অধিকার, বিবাহিত জীবনে যৌন
সমস্যা, যৌন মিলনের সঠিক সময়, দাম্পত্য জীবনে যৌন মিলন কতবার, বিয়ের পর যৌন আচরণ,
যৌন
সম্পর্ক কতদিন পর করা উচিত, বিয়ের রাতের যৌনতা, যৌন স্বাস্থ্যের টিপস,
যৌনতা ও
সম্পর্ক, বৈবাহিক জীবন এবং যৌন মিলন, যৌনজীবনে মিলনের নিয়ম, স্বামী-স্ত্রী যৌনতা নিয়ম, যৌনতা ও ইসলাম, দাম্পত্য কলহে যৌন সমস্যার প্রভাব
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Sex Tips এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Sex Tips এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Sex Tips