জীবন তো একটাই, কেনো পরাজিত হবেন?
মানবের কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো- ‘যৌনাচার’! আজকালে মানব সমাজের মুখশধারীদের চোখে সবচেয়ে খারাপ কাজ হলো- ‘অবৈধ যৌনাচার’। আবার সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য
এটিই। আর এ সমাজে মানবের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো- ‘বৈধ যৌনাচার’। তবে ‘অবৈধ যৌনাচার’ এর প্রসার এ সমাজ ঘটাচ্ছে
সচেতন ভাবেই। ঘৃণার বিষয় হলো- এ সমাজই
অবৈধ যৌনাচারের প্রসার ঘটিয়ে থাকে, আবার এ সমাজই অবৈধ যৌনতাকে নিন্দা করে থাকে। দেখলেন- এ কেমন মহাবৈপরিত্য! আরো ঘৃণার বিষয় হলো- এ সমাজ বৈধ যৌনাচারকে
সহজে স্বীকার করতে চায় না, অর্থাৎ বৈধ যৌনাচারের পথে সমাজ পদে পদে বাধার সৃষ্টি করে। সহজভাবে বলি- এ সমাজ বিবাহ বন্ধনকে জটিল করে ফেলেছে, অবৈধ যৌনতাকে সরল করে দিয়েছে।
সমাজের এ মহাদোষে আজ সমাজেরই অপরিহার্য অঙ্গ প্রতিটি যুবক-যুবতীর দেহ-মন ধ্বংস হয়ে গেছে। চারিদিকে তাকালেই অশ্লিলতার ছড়াছড়ি। সবাই অস্থির, হতাশা বিরাজ করছে সবার জীবনে। ঘরে ঘরে জ্বলছে আগুন। আর এর মূলে যতোগুলো কারণ আছে তার মধ্যে এক নম্বর কারণ হলো এই যে, যুবক-যুবতীর মধ্যে অবৈধ যৌনাচার বিস্তার লাভ করা। তবে তাদের প্রশংসা না করে
পারা যাবে না। কারণ সত্য কথা হলো- প্রত্যেকটা যুবক-যুবতী প্রথমে বৈধ যৌনাচারকে খুঁজে। যখন এই ভুল পথের সমাজ তাদের বৈধ যৌনাচারের পথে লৌহ প্রাচীর তুলে দিয়েছে, তখন থেকেই তারা বৈধ যৌনাচারকে না পেয়ে হতাশা নিয়ে নিজেকে অবৈধ যৌনাচারের
নেশায় ডুবিয়ে দেয়। তারা অনেকটা বাধ্য হয়! কারণ
একদিকে বাঁধভাঙা দেহক্ষুধা ও অন্যদিকে হাত বাড়ালেই যৌনতার সহজলভ্য উপাদান।
আরেকটি ব্যাপার হলো- অবৈধ যৌনাচারের মাত্রাতিরিক্ত নেশা যুবক-যুবতীকে বৈধ
যৌনাচারে প্রবেশ করতে অনুৎসাহিত করে। কারণ অবৈধ যৌনাচারে আসক্ত লোকেরা এর মধ্যে এমন নেশার স্বাদ পেয়ে যায় যে আর
তারা বৈধ যৌনাচারে ফিরে আসতে পারে না। কেউ
আবার বৈধ যৌনাচারে আর কোনো সুখই পায় না। এতে করে তারা অবৈধ পথেই ডুবে থাকে। আর এ নেশা তাদের হতো না, যদি সঠিক বয়সে তারা বৈধ যৌনাচারের অধিকার পেতো। যা-ই হোক, মনে রাখবেন- অবৈধ যৌনাচার মানুষের যৌন জীবনকে ধীরে ধীরে সংকুচিত করে দেয়, আর বৈধ যৌনাচার যৌন জীবনকে দীর্ঘায়িত ও মধুময় করে তোলে। অবৈধ যৌনতা মাদকের চেয়েও ক্ষতিকর, যা দেহ-মনকে জীবন্ত
লাশ বানিয়ে ছাড়ে। যে ব্যক্তি বিবাহবহির্ভূত যৌনতায় লিপ্ত তার জীবন একশভাগ বৃথা। সে
আর এ জীবনে মানসিকভাবে সুস্থ হতে পারবে না। ওই অসুস্থতা তার জীবনকে পরাজয়ের শেষ
সীমায় পৌঁছে দিবে। আর এ কথার সত্যতা তারা জীবনের কোনো এক কালে পাবেন, যখন অবৈধ যৌনাচার তাদের দেহ-মনকে সত্যিই ধ্বংস করে ফেলবে। তখন কি আর ফেরার সময় থাকবে?
অবৈধ যৌনাচারে যারা খুব বেশি সুখ পেয়ে থাকে, তাদের জেনে রাখা উচিত- অবৈধ যৌনাচারের ধরণ যেরূপ তাতে দেহ-মনের ক্ষতিও বেশি। এই সুখ ও ক্ষতি পারস্পারিক লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। অবশেষে সুখের উপর ক্ষতিরই জয় হয়। অবৈধ যৌনাচারে যা যা করা হয়ে থাকে, বৈধ উপায়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েও তা করা যায়। স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক বোঝাপোড়ার মধ্যমে যৌন জীবনে যেমন ইচ্ছা তেমন
যৌনকর্ম করা যায়। তাই অবৈধ যৌনাচারের কোনোও দরকার হয় না। অবৈধ যৌনাচারকে ‘না’ বলতেই হবে। বৈধ যৌনাচরকে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে। বৈধ যৌনাচারের পথে সমাজের যতো বাঁধা, সে বাঁধাকে ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে। এও জানি- বৈধ যৌনাচারের অধিকার তথা বিবাহ বন্ধন প্রক্রিয়ার পথে শত বাঁধা
রয়েছে। আর এ বাঁধা অপসারণ করতে সোচ্চার হলে যুবক-যুবতীকে ভীষণ লজ্জাজনক অবস্থায়
পড়তে হয়। লজ্জার মাথা চিবিয়ে হলেও আজই আপনাকে নিজের বিয়ের জন্য সোচ্চার হতে হবে।
এর বিকল্প পথ আর নেই!
তবে মনে রাখবেন- সঠিক সময়ে অর্থাৎ সঠিক বয়সে বৈধ যৌনতায় প্রবেশ করতে না পারলে অবৈধ যৌনাচার আপনাকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলবে এবং এতে আপনার দেহ-মনেরই পরাজয় নিশ্চিত। তাই বলি কি- জীবন তো একটাই, কেনো পরাজিত হবেন?
এই লেখাটির উৎস বই: ব্যক্তিক যৌননীতি
লেখক: মুহাম্মাদ আল-আমিন খান
প্রকাশক: সনেট লাইব্রেরি
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Sex Tips এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Sex Tips এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Sex Tips