তারা প্রাণি, কিন্তু মানুষ নয়!
মনে রাখা উচিত- মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা নারী-পুরুষকে যে প্রেমময়ী দেহ-মন দিয়েছেন, তা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যে রক্ষা করতে পারে সে-ই একমাত্র মানুষ। একই সাথে বিয়ের পর পরকীয়ার বিপরীতে দাম্পত্য সঙ্গীর প্রতি মায়া ও প্রেমের টানে বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে আগলে যে রাখতে পারে সে-ই মানুষ। আর যে এ দু’বেলায় ব্যর্থ এবং অবাধে নিজেকে বিলিয়ে দেয় সে-ও অস্বাভাবিক কেউ নয়, সে অন্যান্য যৌন চাহিদা সম্পন্ন পশুদের মতোই স্বাভাবিক প্রাণি, কিন্তু কিছুতেই মানুষ নয়। এমন প্রাণীকে যারা মানুষ বলেন, যারা তাদের মানুষ ভেবে গৃহে জায়গা দেন, যারা তাদের আঁকড়ে ধরে রাখতে চান, তাদেরকে বলবো- ভুল করছেন আপনারা। ওরা তো মানুষ নয়, ওরা মানুষ রূপী জানোয়ার। এ কথাই সত্য!
বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনে যে শাশ্বত প্রেম আসে, তার চূড়ান্ত রূপ দেওয়া উচিত বিবাহ নামক পবিত্র বন্ধনের মধ্য দিয়ে। বিবাহবহির্ভূত যে প্রেম, তা সাময়িক সুখ দিলেও জীবনকে হতাশা, পাপবোধ, রোগ ও নরক যন্ত্রণা দিয়ে বিষিয়ে তোলে। আর বৈধ ও পবিত্র বৈবাহিক প্রেমসঙ্গ জীবনকে সুখ, মধুময়তা, পবিত্রতা ও সুস্থতা দিয়ে উজ্জীবিত করে তোলে। তাছাড়া বিবাহবহির্ভূত প্রেম যেমন টেকসই নয়, তেমনি বিবাহের পরে তুষের আগুনের মতো জ্বলে ওই প্রেম জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এ এক অবশ্যম্ভাবী সত্য!
আর বিয়ের পরেও যে প্রেম যাকে আমরা বলি পরকীয়া, দুটি প্রশ্নে এই পরকীয়া মানুষের জন্য নিষিদ্ধ। এক হল- দাম্পত্য সঙ্গী থাকার পরেও কেনো পরকীয়া? দুই হলো- এই পরকীয়ার মাধ্যমে দাম্পত্য সঙ্গীকে কেনো ঠকানো হয়? এ দুটি প্রশ্নের সদুত্তর কেউ দিতে না পারলে তার উচিত পরকীয়া থেকে বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তের বিচার হলো- বিবাহিত নারী-পুরুষ স্বামী বা স্ত্রীর
বাইরে আর কোনো অবৈধ সম্পর্ক
করলে তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অর্থাৎ তারা এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আর কোনো অধিকার রাখে না। বিপরীতে কালে কালে এই পরকীয়া প্রেমকেই নানাজনে বৈধতা দিয়েছেন, শৈল্পিক রূপ দিয়েছেন। বইও লিখেছেন পরকীয়ার পক্ষে। তবুও এই পরকীয়া নিষিদ্ধ প্রেম! যারা নিষিদ্ধ এই প্রেমের দিকে পা বাড়িয়েছেন তারাই এ জীবনে সত্যের দিকে আর পা ফেলাতে পারেননি। এ আরও এক অবশ্যম্ভাবী সত্য!
এই লেখাটির উৎস বই: ব্যক্তিক যৌননীতি
লেখক: মুহাম্মাদ আল-আমিন খান
প্রকাশক: সনেট লাইব্রেরি
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Sex Tips এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Sex Tips এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Sex Tips