সঙ্গীর শারিরীক সৌন্দর্য্য ও যৌনাকর্ষণ
চেহারার
সৌন্দর্য ও শারীরিক ফিটনেস এটি আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত। কোন মানুষ খুব লম্বা, ফর্সা, শারীরিক গঠন তার আকর্ষণীয় ও সে সুঠাম দেহের
অধিকারী। অপরদিকে কিছু মানুষ খর্বাকার, কালো, কুৎসিত-কদাকার, শারীরিক গঠন ক্ষণভঙ্গুর। কিছু মানুষ আবার দেখা যায়
খুব লম্বা ও সুঠাম দেহের অধিকারী
কিন্তু তার চেহারা বিচ্ছিরি। আবার কিছু মানুষ চেহারায় চমৎকার হলেও তার শারীরিক গঠন ক্ষীনকায়। এরকম নানা বৈশিষ্ট্যে আমরা মানুষ সৃষ্টি
হয়েছি। অনেকে আবার রোগব্যাধি, অসুখ-বিসুখ, খুধা-দারিদ্রে সৌন্দর্য ও ফিটনেস হারায়। মানুষের
বৈচিত্র সৃষ্টির অন্যতম রহস্য। আমরা প্রতিটি মানুষ এসব বৈচিত্রের মধ্য দিয়েই টিকে
আছি। পৃথিবীর কোন দেশে মানুষ শুধু কালো আর কালো। সে সব দেশে
যে খুব বেশি কালো তাকেই সুন্দর ভাবা হয়। আর আমাদের এশিয়ার অধিকাংশ দেশগুলোতে
যারা ফর্সা তাদেরকে সুন্দর মনে করা হয়। এটাও সত্য যে এই
চেহারার সৌন্দর্য ও শারীরিক ফিটনেস যৌনাকর্ষণ সৃষ্টি করে।
বিশেষ
করে বাংলাদেশের পুরুষেরা ফর্সা ও শ্যাম বর্ণের নারীদের বেশি পছন্দ করে থাকে।
কালো মেয়েদের বিয়ে করা বা তাদের বিয়ে দেবার ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা
ও দৈন্য দশায় পড়তে হয়। অন্যদিকে পুরুষের বেলায় মেয়েরা
ফর্সা বা শ্যাম ছেলেদের পছন্দ করলেও
কালো ছেলেদের পছন্দ করতে দ্বিধাবোধ করে না যদি তারা অনেক লম্বা ও সুঠাম দেহের অধিকারী হয়। অর্থাৎ একদিকে গায়ের রং, অন্যদিকে
দৈহিক ফিটনেস নারী-পুরুষ সবাইকেই আকৃষ্ট করে। বৈবাহিক সম্পর্কের বেলায় বাহ্যিক
সৌন্দর্য, সাদা-কালো চামড়া, চেহারার মিষ্টতার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে
দৈহিক গঠন। সঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দৈহিক
গঠনকে সবাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। কেননা
তাদের মধ্যে যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার মূল আকর্ষণীয় উপাদানটা হলো এই
দৈহিক ফিটনেস। তাছাড়া দৈহিক ফিটনেস অনেক সময়
সুস্থতার প্রতীক। পরবর্তী বংশধরদের সৌন্দর্য ও ফিটনেস বিবেচনায় নিয়ে অনেকে বিয়ের বেলায় সঙ্গী বাছাই করে থাকে। তবে আল্লাহ কুৎসিত ও খর্বকায় বাবা-মায়ের ঘরেও
উত্তম সন্তান দিতে পারেন। শিক্ষা, জ্ঞান, ধার্মিকতা, মূল্যবোধ ও
কর্মদক্ষতা এগুলো হলো একজন সন্তানের সৌন্দর্যের সবচেয়ে বড় মাপকাঠি। সেই সন্তান
পেতে হলে উত্তম আচরণ ও কর্ম গুণের জীবনসঙ্গী প্রয়োজন। শারীরিক সৌন্দর্য ও ফিটনেস
যাদের আছে তাদের মধ্যে সেই মূল্যবোধ ও কর্মগুণ আছে কিনা সেটা
কি আমরা সবসময় যাচাই করি?
মানুষের
দৃষ্টিভঙ্গি থাকে দুদিকে। একটি হচ্ছে চেহারা ও অন্যটি শারীরিক
ফিটনেস। কারো চেহারা অতটা ভালো না হলেও যদি শারীরিক ফিটনেস
থাকে তাহলে আবার অনেকে আকৃষ্ট হয়। যেমন দেখা যায় কোন নারীর চেহারা কদাকার হলেও তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত শারীরিক গঠন, উচ্চতা অত্যন্ত লোভনীয়। যা দেখেও কোন পুরুষ আকৃষ্ট হতে পারে। তবে মানুষ সৌন্দর্য বলতে শুধুমাত্র মুখের চেহারার
মিষ্টতার দিকে দৃষ্টিপাত করে, এটা ঠিক নয়। বরং শারীরিক গঠন, চেহারা, চালচলন, আচার-আচরণ সবকিছু মিলে হলো একজন মানুষের সৌন্দর্য।
পুরুষের শারীরিক গঠন তার লম্বা হওয়া, নারীদের বেশি আকৃষ্ট
করে। চেহারা কালো হলেও অনেক মেয়ে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে
যায়। বাংলাদেশের মেয়েরা লম্বা ছেলেদের খুব পছন্দ করে।
অন্যদিকে প্রশস্ত বক্ষ, পদক্ষেপ যার
বীরপুরুষোচিত, হোক সে চামড়ায় কালো, তাতে অধিকাংশ
মেয়ের আপত্তি নেই। এই হলো আমাদের দেশীয় পেক্ষাপটে সঙ্গী বাছাইয়ে পছন্দ-অপছন্দের ফিরিস্তি।
তবে কে
কাকে পছন্দ করলো না করলো, তার থেকে বড় কথা হলো ভাগ্য যেখানে যার সাথে। দাম্পত্য সম্পর্ক কার সাথে কার হবে সেটা বলা যায়
না। ভাগ্য বলে এখানে একটা কথা আছে। তাছাড়া মানুষ শারীরিক
সৌন্দর্য ও ফিটনেস দেখে যেমন বিয়ে করে, তেমনি সঙ্গির টাকা-পয়সা ও পদ-পদবীর দিকেও নজর দেয়। বলা হয়ে
থাকে পুরুষদের টাকাই হল তাদের বড় সৌন্দর্য। এই টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি ও ভালো চাকরি
থাকলে কুৎসিত কদাকার পুরুষেরাও সবচেয়ে সেরা বউ পেয়ে থাকে। যেটা আমরা সমাজে অহরহ দেখছি। সেক্ষেত্রে নারীরা তার
সৌন্দর্য নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলে না।
মনের ভিতর একটু খেদ থাকলেও নিজেকে সামলে নেয় ও খুশি মনেই
কুৎসিত পুরুষের বাড়িতে চলে যায়। আবার দেখা যায় টাকা-পয়সা
কিছু নেই অন্যদিকে কুৎসিত কদাকার পুরুষও খুব সুন্দর বউ পেয়ে
গেছে। কিভাবে পেল এটা কেউই হয়তো জানে না। ওই যে বললাম ভাগ্য। আবার দেখা যায় মেয়েটা খুব
সুন্দরী, পাড়ার সব ছেলেরা পাগল ছিল বিয়ে করার জন্য। কিন্তু দেখা গেছে তার স্বামী এতটাই কুৎসিত ও কদাকার
যে সবার মধ্যে কানাঘোষা চলে। কি দেখে
সে মেয়ে রাজি হল, তার পরিবারইবা তাকে কি
দেখে বিয়ে দিল সেটা কেউই নাকি জানেনা। অনেক
সময় আমরা যাকে পছন্দ করি না, হয়তো অন্য কারো চোখে সে পছন্দনীয় রূপে আবির্ভূত হয়। তাই বোঝা
গেল কিছু ক্ষেত্রে এই সৌন্দর্য আপেক্ষিকও বটে।
বিয়ের
পরে পারস্পরিক সঙ্গমসুখ যদি ভালোভাবে সঙ্গীকে দিতে পারেন
তাহলে সেই দেহের প্রতি মায়া টান সৃষ্টি হয়ে যায়। তখন এই
সঙ্গমটা পছন্দের প্রধানতম উপাদান হিসেবে দেখা দেয়। তখন সঙ্গীকে আর অপছন্দ হয় না। অন্যদিকে
যতই সৌন্দর্য ও ফিটনেসের অধিকারী হোক কোনো পুরুষের যৌনাঙ্গ যদি
অক্ষম হয় তাহলে একদিন তার স্ত্রীর হুঁশ
ফিরবে। স্বামীর এই সৌন্দর্য তার কোন কাজে আসবে না। দাম্পত্য জীবনে আসল সৌন্দর্য ওই এক জায়গায় নিহিত। সেই সৌন্দর্য না
থাকলে বাহ্যিক সৌন্দর্য কোনো সঙ্গীকেই তৃপ্ত করতে পারে না। তখন নানা অশান্তির অনুপ্রবেশ ঘটে যার ফলে প্রেম-পরকীয়া থেকে বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। তাই বৈবাহিক সম্পর্কের বেলায় বাহ্যিক
সৌন্দর্যকে গুরুত্ব দেবার চেয়েও যৌন সক্ষমতার যে সৌন্দর্যটা
দেহের মধ্যে গোপন থাকে সেটা খুঁজে বের করা উচিত। যদিও বিয়ের আগে তা টের পাওয়া
সম্ভব নয়।
অনেকে
বিয়ের আগে পুরুষের যৌন সক্ষমতার বিষয়টি নানাভাবে তল্লাশি চালায়। এমন নারীর
সন্ধান পেয়েছি যে পুরুষাঙ্গের আকার আকৃতি কেমন তা পাত্রকে জিজ্ঞেস করেছে। কিভাবে
কতটুকু সময় নিয়ে, সপ্তাহে কয়দিন তার সাথে সহবাস করবে বলে
ভাবে এসব জিজ্ঞেস করে তার যৌন সক্ষমতার
আন্দাজ করার চেষ্টা করেছে। এই আধুনিক যুগে এসে অতি আধুনিক, অতি সচেতন ও অতি ধার্মিক এমন একজন মেয়ের খোঁজ আমি পেয়েছি। এর আলোকে বোঝা যায় এমন অতি
সচেতন নারী আরও রয়েছে আমাদের সমাজে। তাছাড়া
আজকাল অক্ষম পুরুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উপর দিয়ে দেখতে সুন্দর
ভেতরে তাদের মোটেও যৌনসস্বাস্থ্য ঠিক নেই, পুংলিঙ্গ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিয়ের পর এ বিষয়টি ধরা
পড়লে তখন বিপদের কোন শেষ নেই। তাই হয়তো আগেভাগেই সতর্কতামূলকভাবে এ বিষয়টি
জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও তা সরাসরি পাত্রীর পক্ষ থেকে পাত্রের কাছে জানতে
চাওয়া সুস্পষ্টভাবে গুনাহের কারণ হতে পারেন। যদিও বর্তমান বাস্তবতায় এই বিষয়টি
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পাত্র-পাত্রী নয় বরং কোন পক্ষের নানা-নানী, দাদা-দাদী এমন টাইপের মুরুব্বিরা সর্বোচ্চ শালীনতা ও ভদ্রতা বজায় রেখে
গোপনে পাত্রের কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেন। তাহলে পাত্রের
অক্ষমতা থাকলেও মিথ্যা বলে অন্তত এদের
সাথে আত্মীয়তা করার দুঃসাহস সে দেখাবে না।
কেউ
আবার মোটা মেয়েদের পছন্দ করে। নারীর শরীরে মাঝারি গড়ের চর্বি অনেক ছেলের
কাছে ভীষণভাবে কামনার। অন্যদিকে বর্তমানে এ ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে যে যারা শুকনা বা
স্লিম গড়নের তারা বেশি সৌন্দর্যের অধিকারী। এজন্য মেয়েরা ডায়েট করে নিজেদের শুকনো স্লিম দেহের অধিকারী তৈরি করতে মরিয়া। তবে এ স্লিম হবার ধাারণা পুরোপুরি
ঠিক নয়। স্লিম হতে গিয়ে অনেকে আবার রোগব্যাধি বাঁধিয়ে ফেলেন।
প্রয়োজন হল সুস্বাস্থ্যের অধিকারী স্বাভাবিক দৈহিক গড়ন। তবে যেহেতু দেহ যৌনতার
আধার, তাই একেবারে চর্বিহীনতার চেয়ে মাঝারি চর্বিযুক্ত দেহ যৌনকার্যে বেশি সহায়ক। আর
নিতম্ব বা পাছা, এই অঙ্গটি নিয়ে কেউ লজ্জায় তেমন কোন কথা না বললেও মানুষ কাউকে দেখে পছন্দ করার সময় এই নিতম্বের দিকেই বেশি আলোকপাত করে।
বিশেষ করে একেবারে শুকনো নিতম্বের অধিকারী পুরুষদের ভালো দেখা যায় না। নারীদের
ক্ষেত্রেও তাই। ছেলেরা ভারী নিতম্বের অধিকারী মেয়েদের পছন্দ
করে। নিতম্ব বরাবরই ছেলেদের আকৃষ্ট করে। গোলগাল সুঠাম নিতম্বের অধিকারী নারী পুরুষদের কাছে
ভীষণভাবে কামনীয়। এবং এটা যৌন কাজে অতি সহায়ক অঙ্গও
বটে। আরও রয়েছে নারীর সুগঠিত চর্বিযুক্ত
স্তনযুগল। এগুলো অতি শুকনো হলে তা পুরুষের আকর্ষণ, যৌন কাজে ও মাতৃদুগ্ধপানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অন্যদিকে
পুরুষের চর্বি এমন হবেনা যে তার নিতম্ব অত্যাধিক মোটা হয়ে
গেছে অথবা পেট অনেক উঁচু। অন্যদিকে পুরুষের বুকে স্তনে চর্বি নামা স্বাস্থ্যকর নয়
ও তা সৌন্দর্য নষ্ট করে। সঙ্গীর কাছে অপছন্দনীয় লাগতে পারে।
চওড়া বুকের ছেলেদের মেয়েরা বেশি পছন্দ করে। তাদের প্রশস্ত বাহু ডোরে তারা আবদ্ধ হতে চায়। খর্বকায় পুরুষের শক্তি কম ও তারা নারীদের ভার বহন করতে পারে না। তাই শক্তিশালী
পুরুষ প্রতিটি নারীর কাম্য যাতে করে প্রেম-ভালোবাসা থেকে যৌনকর্ম প্রতিটি
ক্ষেত্রেই নারী দেহ আগলে রাখা, কোলে তুলে নেওয়া এবং ভার বহন করার মতো সক্ষমতা তাদের থাকে।
যারা
তেমন সৌন্দর্যের অধিকারী নয় ও আকর্ষণীয় শারীরিক ফিটনেস যাদের নেই তারা কি
মানুষ নয়? মানুষ হয়ে অপর
মানুষকে তুচ্ছ করার কোন সুযোগ নেই। সুন্দর অথবা অসুন্দর
প্রত্যেকের দেহই একদিন এই মাটির নিচে যাবে, মাটি কুরে কুরে
খাবে। আয়নায় নিজেকে চকচক করলেই অপরকে তুচ্ছ করবেন অথবা আপনি তার উপযুক্ত নয়
ভাববেন, এ ধরনের ভাবনা ছোট মানসিকতার এবং শিক্ষা ও মূল্যবোধ পরিপন্থী। কোন মানুষই অসুন্দর
নয়। দূর থেকেই তা শুধু মনে হয়।
মানুষের কাছে গেলে, মিশলে তার মধ্যে অনেক সৌন্দর্যের উপাদান
খুঁজে পাওয়া যাবে। আমরা সেই সুযোগটুকু কাউকে দিতে চাই না
বলেই আমাদের চোখে অনেকে সুন্দর নয়। এভাবে মানুষকে মূল্যায়ন
করার পেছনে আমাদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দায়ী। মনে রাখবেন কোনো নারী-পুরুষই চেহারা ও শারীরিক গঠনে
ভালো অবস্থানে নেই। প্রত্যেকেরই কোন না কোন দিক দিয়ে
অক্ষমতা আছে, রোগ-ব্যাধি আছে, কাছে গেলেই বোঝা যাবে। তাছাড়া পরিপূর্ণ সৌন্দর্য ও
ফিটনেসের অধিকারী নারী অথবা পুরুষ খুব কমই পাওয়া যায়। কাজেই মানুষের শিক্ষা, নীতি-নৈতিকতা, ধর্ম, পারিবিক ও সামাজিক
কালচার দেখে মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে। এটার উপর ভিত্তি
করে সঙ্গী বাছাই করতে হবে এবং তার সৌন্দর্য ও শারীরিক কাঠামো যতটুকু আছে তাতেই
যাবতীয় কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
চেহারার সৌন্দর্য ও শারীরিক গঠনে ত্রুটি বিচ্যুতি ধরে কখনো সঙ্গীকে হেয়
করবেন না, ছোট করবেন না, ঘৃণা করবেন না। প্রয়োজনে এগুলো বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত হবার আগে বিবেচনা করতে পারেন। বিয়ে হয়ে গেলে এসব বিবেচনা করে সঙ্গীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার অর্থ হচ্ছে
মানুষকে ঘৃণা করার শামীল। যার ফলে দেখা যায় বিচ্ছেদ থেকে
শুরু করে অনেক অশান্তির সৃষ্টি হয়। যারা সঙ্গীর সৌন্দর্য ও শারীরিক গঠনের কারণে তাকে ত্যাগ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় সেই সকল
মানুষ পরবর্তীতে সুন্দর সঙ্গী আর পায় না। পেলেও তারা তাদের সেখানে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার
হয়ে জীবন যাপন করতে হয়। নিয়তির খেলা ঠিক
এভাবেই হতে দেখা গেছে। তাই অন্তত এই বিষয়ে কাউকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা যাবে না। কেননা এটা এমন একটা বিষয় যা স্বয়ং
আল্লাহর দান। সৌন্দর্য ও ফিটনেস
প্রত্যেকে কামনা করে কিন্তু এটা সহজে পাওয়া যায় না। তবে
যারা সুন্দর চেহারা ও ফিটনেসের জীবনসঙ্গী পেয়েছেন তারা নেয়ামত পেয়েছেন। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন, তাকে ভালবাসুন ও
বুকে আগলে রাখুন। আর যারা মনে করেন তারা পাননি, তাদের বলবো সঙ্গীর মধ্যে সৌন্দর্য খোঁজার চেষ্টা করুন। দেখবেন তার মধ্যে অনেক সৌন্দর্যের উৎস আছে। সে-ই
হয়তো আপনার জন্য উপযুক্ত। আল্লাহ যা চেয়েছেন সেটাই
মঙ্গলজনক। তার থেকে অধিক সৌন্দর্য খুঁজতে যাওয়া আপনার জন্য আত্মবিধ্বংসী হতে
পারে।
এই লেখাটির উৎস বই: ব্যক্তিক যৌননীতি
লেখক: মুহাম্মাদ আল-আমিন খান
প্রকাশক: সনেট লাইব্রেরি
সার্চ কী: সঙ্গীর শারীরিক সৌন্দর্য, সঙ্গীর প্রতি যৌন আকর্ষণ, দাম্পত্য জীবনে আকর্ষণ,
সেক্সুয়াল অ্যাট্রাকশন, সম্পর্ক ও শারীরিক
আকর্ষণ, নারীর সৌন্দর্য বোঝার উপায়, পুরুষের
যৌন আকর্ষণ, প্রেমে যৌন আকর্ষণ কতটা জরুরি, দাম্পত্য সম্পর্কের রসায়ন, ভালোবাসা ও যৌন সম্পর্ক,
দাম্পত্য জীবনে সৌন্দর্যের ভূমিকা, পার্টনারকে
আকর্ষণীয় করে তোলা, যৌন সম্পর্ক স্থায়িত্বের উপাদান,
দাম্পত্য জীবনে রোমান্স, নারী পুরুষের আকর্ষণ
কীভাবে গড়ে উঠে, সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর উপায়,
পারস্পরিক আকর্ষণের মনস্তত্ত্ব, শারীরিক
আকর্ষণ মানসিক স্বাস্থ্য, যৌনতা ও সম্পর্ক, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের গুরুত্ব
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Sex Tips এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Sex Tips এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Sex Tips